কিছুক্ষণ পরেই রিয়া টয়লেট থেকে বের হতেই আমাকে দেখে থমকে গেলো। ভয়ার্থ চেহারা নিয়ে রিয়া আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
আমিঃ (সাভাবিক হয়ে) কি বেপার! এত ভয় পাচ্ছো কেনো? কিছু হয়েছে?
রিয়াঃ ( তুতলাতে তুতলাতে) কক কই না তো।
আমিঃ (ওর কাছে গিয়ে) আরে কি হয়েছে আমাকে বলো? ভয় পাইছো? আরে ভয় পেওনা, আমি আছিতো। যাও গিয়ে শুয়ে পড়ো।
[আপনারা কি ভাবছেন
,, এত বড় একটা কাহিনী হয়ে গেলো আর আমি ওকে কিছুই বলিনি কেনো,,,কারণ আমি এই কাহিনীটা অনেক আগেই জেনে গিয়েছি ,,, যেদিন ও প্রথম আমাকে ডিভোর্সের কথা বলেছিলো,,,ওই দিনই আমার সন্দেহ হয়েছিলো যে,, কিছুতো গণ্ডগোল আছেই,,, তারপর ইকবালের কথাটা শোনার পর আমার সন্দেহটা আরও তিব্র আকার ধরণ করলো,,, তারপর রিয়ার ফ্রেন্ড আফ্রিন কে কল দেওয়ার পর রিয়া আমার সাথে রাগ দেখিয়ে রুমের বাইরে যাওয়ার পর,, আমি আবারও আফ্রিন কে কল দিয়েছিলাম,,, আর আফ্রিন কে আমি বলি যেঃ আফ্রিন রিয়া কখন বাসায় আসবে?
,, এত বড় একটা কাহিনী হয়ে গেলো আর আমি ওকে কিছুই বলিনি কেনো,,,কারণ আমি এই কাহিনীটা অনেক আগেই জেনে গিয়েছি ,,, যেদিন ও প্রথম আমাকে ডিভোর্সের কথা বলেছিলো,,,ওই দিনই আমার সন্দেহ হয়েছিলো যে,, কিছুতো গণ্ডগোল আছেই,,, তারপর ইকবালের কথাটা শোনার পর আমার সন্দেহটা আরও তিব্র আকার ধরণ করলো,,, তারপর রিয়ার ফ্রেন্ড আফ্রিন কে কল দেওয়ার পর রিয়া আমার সাথে রাগ দেখিয়ে রুমের বাইরে যাওয়ার পর,, আমি আবারও আফ্রিন কে কল দিয়েছিলাম,,, আর আফ্রিন কে আমি বলি যেঃ আফ্রিন রিয়া কখন বাসায় আসবে? আফ্রিনঃ (অনেকটা অবাক হয়ে) সেকি রিয়া তো সেইই কখনই চলে গিয়েছে! এখনও বাসায় পৌছায় নি?
আমিঃ বল কি! রিয়া তোমার বাসা থেকে কয়টার দিকে বের হয়েছে?
আফ্রিনঃ এইতো দুপুরে লাঞ্চের পরেই,, এই ধরেন ২ টার দিকে হবে।
আমিঃ অওঅঅহ,,, আচ্ছা আমি ওকে মোবাইলে ট্রাই করছিলাম আরকি,, কিন্তু পাইনি,, আমিতো একটু বাইরে,, বাসায় গিয়ে দেখি ও আসছে কিনা { এই যে পাঠক সাহেরেরা মিথ্যা বলছি বইলা আবার রাগ কইরেন না,, ভাইরে মাঝে মাঝে সত্যিটা সামনে বের করার জন্য, কিছুটা মিথ্যা বলতে হয় }
আফ্রিনঃ ওও আচ্ছা,,, ও হয়তো বাসায় চলে গিয়েছে,, আপনি টেনশন কইরেন না,, আর আমি ওর নাম্বারে ট্রাই করে দেখছি।
আমিঃ না না টেনশনের কিছু নাই। ও বাসাতেই আছে। আম্মু এখন মেসেজ দিয়ে বলল।
তারপর আফ্রিনের কলটা কেটে দিয়েই,, সেদিন রাতে রিয়ার মোবাইলের কল লিস্ট চেক করে রিয়ার বয় ফ্রেন্ড এর নাম্বারটা আমার মোবাইলে নিয়ে নিলাম,,, তারপর ওই হারামজাদারে কল দিয়া কৌশলে ওর ঠিকানা নিয়ে নিলাম,, আর তারপর ওর বেপারে গোপনীয় ভাবে খোঁজ নিয়ে জানতে পাড়লাম,, ওই হালায় আস্ত একটা ঢপ বাজ,,, হালার অনেক গুলা গফ আছে
,,আর এই হালার পো হালার লাইজ্ঞা আমার কিছু অবুঝ পাঠক ভায়েরা আজ সিংগেল 
,, যাই হোক অই হালার বেস্ট ফ্রেন্ডের থেকে জানতে পারলাম,,, ও নাকি অনেক আগে থেকেই রিয়াকে পছন্দ করত,,, আর আমার সাথে যখনই রিয়ার রিলেশন হয়ে যায়,,, আর তখন অই হালায় প্ল্যান করে রিয়ার কাছে আমার কিছু মিথ্যা ইনফরমেশন দিয়ে,,, আমাকে রিয়ার কাছে খারাপ সাজিয়ে আমার সাথে রিয়ার ব্রেক আপ করিয়ে নেয়। আর তারপর রিয়ার একাকিত্বের সময় গুলাতে ও পাশে থাকার অভিনয় করে ওর দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে অকে প্রপোজ করে রিয়ার ভরশার হাত হয়ে রিয়ার পাশে দাড়ানোর আশ্বাস দেয়। আর রিয়াও বেক্কেলের মতো ওর ফাদে পাড়া দিয়ে দেয়। আর অই হারামজাদার নামটা হচ্ছে রোহান । আর রুহানের ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলে যত টুকু জানতে পাড়লাম রিয়া নাকি আমাকে অসম্ভব ভালোবাসতো,, কিন্তু রুহাইন্নার দেওয়া কিছু ভুল ইনফরমেশন এর জন্য ও আমাকে ছেড়ে যেতে বাদ্য হয়েছিলো। আর সব কিছু জানার পরও আমি এখনও কেনো চুপ আছি,, রিয়াকে কেনো সব কিছু বলে দিচ্ছি না,, এই প্রশ্নটা আপনাদের মনে কড়া নাড়ছে তো? দেখেন আমি যদি এখন রিয়াকে সব কিছু বলে দেইই তাহলে রিয়া আমাকে বিশ্বাস নাও করতে পড়ে । তাই আমি আর আমার হারামি দুইড্ডা বেস্টু লইয়া এক্ষান সেইইই লেবেলের প্ল্যান তৈরি করলাম। আর আমাদের প্ল্যান টা হচ্ছে রোহান যখনই তার অন্য গফ এর সাথে মিট করতে যাবে,, তখনই সরাসরি রিয়াকে সেখানে যে কোনো উপয়ে হাজির করে ওই হালার আসল রুপ টা রিয়ার সামনে লাইভ উপস্থাপন করমু
( এই যে পাঠক ভায়েরা আপনারা আবার কাউকে এই প্ল্যান এর কথা কইয়েন না,, তাইলে রোহাইন্না জেনে গেলে,, সব প্ল্যান ভেস্তে যাইবো) ]
,,আর এই হালার পো হালার লাইজ্ঞা আমার কিছু অবুঝ পাঠক ভায়েরা আজ সিংগেল ,, যাই হোক অই হালার বেস্ট ফ্রেন্ডের থেকে জানতে পারলাম,,, ও নাকি অনেক আগে থেকেই রিয়াকে পছন্দ করত,,, আর আমার সাথে যখনই রিয়ার রিলেশন হয়ে যায়,,, আর তখন অই হালায় প্ল্যান করে রিয়ার কাছে আমার কিছু মিথ্যা ইনফরমেশন দিয়ে,,, আমাকে রিয়ার কাছে খারাপ সাজিয়ে আমার সাথে রিয়ার ব্রেক আপ করিয়ে নেয়। আর তারপর রিয়ার একাকিত্বের সময় গুলাতে ও পাশে থাকার অভিনয় করে ওর দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে অকে প্রপোজ করে রিয়ার ভরশার হাত হয়ে রিয়ার পাশে দাড়ানোর আশ্বাস দেয়। আর রিয়াও বেক্কেলের মতো ওর ফাদে পাড়া দিয়ে দেয়। আর অই হারামজাদার নামটা হচ্ছে রোহান । আর রুহানের ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলে যত টুকু জানতে পাড়লাম রিয়া নাকি আমাকে অসম্ভব ভালোবাসতো,, কিন্তু রুহাইন্নার দেওয়া কিছু ভুল ইনফরমেশন এর জন্য ও আমাকে ছেড়ে যেতে বাদ্য হয়েছিলো। আর সব কিছু জানার পরও আমি এখনও কেনো চুপ আছি,, রিয়াকে কেনো সব কিছু বলে দিচ্ছি না,, এই প্রশ্নটা আপনাদের মনে কড়া নাড়ছে তো? দেখেন আমি যদি এখন রিয়াকে সব কিছু বলে দেইই তাহলে রিয়া আমাকে বিশ্বাস নাও করতে পড়ে । তাই আমি আর আমার হারামি দুইড্ডা বেস্টু লইয়া এক্ষান সেইইই লেবেলের প্ল্যান তৈরি করলাম। আর আমাদের প্ল্যান টা হচ্ছে রোহান যখনই তার অন্য গফ এর সাথে মিট করতে যাবে,, তখনই সরাসরি রিয়াকে সেখানে যে কোনো উপয়ে হাজির করে ওই হালার আসল রুপ টা রিয়ার সামনে লাইভ উপস্থাপন করমু( এই যে পাঠক ভায়েরা আপনারা আবার কাউকে এই প্ল্যান এর কথা কইয়েন না,, তাইলে রোহাইন্না জেনে গেলে,, সব প্ল্যান ভেস্তে যাইবো) ]তারপর রিয়া কেমন ভাবে যেনো আমার দিকে বার বার ফিছন ফিরে তাকাতে তাকাতে রুমে গিয়ে কাচুমাচু হয়ে শুয়ে পড়লো। আর এই যে আমিও যাই একটু ঘুমায় গিয়ে,,, আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে এমনিতেই আমার সাধের ঘুমের ১২ বেজে গিয়েছে,,, গুড নাইট 
তারপর প্রায় দিন ৩ দিন পর... আমরা আমাদের প্ল্যান এর সফলতার দারপ্রান্তে পোছালাম। মানে আজকে রুহাইন্না তার আরেকটা গফ লইয়া কিশোরগঞ্জ নেহাল পার্কে অবস্থান করিতেছে,, আর আমিও রিয়ারে কল দিয়া কইলামঃ রিয়া তুমার আব্বু কিশোরগঞ্জ নেহাল পার্কের সামনে এক্সিডেন্ট করেছে,,, তুমি এক্ষুনি ওখানে চলে আসো,,, আর তারপর প্রায় ১৩ মিনিট পরেই রিয়া ওখানে এসে হাজির,,,তারপর দৌড়তে দৌড়াতে আমার কাছে এসে বললোঃ সাদ আব্বু কোথায় 
আমিঃ আরে শান্ত হও,, তোমার আব্বুর কিচ্ছু হয়ইনি।
রিয়াঃ মানে! তাহলে আমাকে যে বললা আব্বু এক্সিডেন্ট করেছে।
আমিঃ মানেটা,, আমার সাথে আসলেই বুঝতে পারবা। (তারপর রিয়ার হাত ধরে নেহাল পার্কএ প্রবেশ করে রুহানের পিছন দিক থেকে আমি রিয়াকে ওর কাছে নিয়ে গিয়ে) দেখোতো চিনতে পারো কিনা তোমার এই নাগড় কে? যার মিথ্যে মায়ায় জড়িয়ে গিয়ে আমাকে ভুল বুঝে ছেরে গিয়েছিলে। আবার এখন বিয়ের পরও আমাকে আবার ছেড়ে যাচ্ছ এই ভণ্ডটার জন্য।
(রিয়া রুহানের সামনে যেতেই রুহানের গালে একটা ঠাস কইরা শব্দ শুইনা বুঝতে পাড়লাম একশান ডাইরেক্ট ক্যালানিতে চইলা গেছে)
রিয়াঃ (রোহান কে উদ্দেশ্য করে) অই হালা,, তোর জন্মের ঠিক আছে? তুই নাকি আমার জন্য ১৩ নদী পাড় কইরা আমাকে সেফটি দিতে পারবি! এই তার নমুনা,,, তুই আমাকে কেন ঠকাইলি। (তারপর রিয়া পাশে রাখা একটা আইক্কাওয়ালা বাশ লইয়া রুহাইন্নারে ইচ্ছামত ক্যালাইতে লাগলো। অবস্থা বেগতিক দেইক্ষা রোহাইন্নার সাথে রুহাইন্নার গফ টাও বেইমানি কইরাললো,,, আই মিন রিয়ার সাথে যোগ করিয়া রুহাইন্নারে ক্যালাইতে লাগিল,,, আর আমিও সেইইই লেবেলের ভাব লইয়া ক্যামারা ম্যান সাইজ্জা সব একশান কাহিনী গুলা শুট করিতে লাগিলাম
,,, তারপর অবস্থা বেগতিক দেইক্ষা আমি রিয়া আর অই মাইয়াডার কাছে গিয়ে কইলাম)
,,, তারপর অবস্থা বেগতিক দেইক্ষা আমি রিয়া আর অই মাইয়াডার কাছে গিয়ে কইলাম)আমিঃ বইন রে,,, তোরা এই অবুঝ পোলাডারে আর মারিস না,,, বেচারি মইরা যাইবো,,( তারপর দেখলাম মহিলা দুইড্ডা আমার দিকে বাশ লইয়া আগাইতে লাগিলো,, আমি করুন অবস্থায় পড়িয়া কইলাম,,,) বইনরে অই হালারে মার,, ইচ্ছামত মার,,, তোরা মারতে থাক আমি তোদের লাইজ্ঞা ঠান্ডা পানি লইয়া আইতাছি,,, ইসসসস বইন দুইড্ডা এক্কেরে হাপাইয়্যা গেছে ।
।তারপর ফট কইরাই এক্কেবারে হোসাইন বোল্টের গতিতে হাইট্টা হাইট্টা ঠান্ডা পানির সন্ধানে রওনা হইয়া গেলাম।
তারপর পানি লইয়া যেইই পৌছাইলাম দেখি মাইয়া দুইড্ডা রুহান্নেরে মাইরা এক্কেবারে হুতায়া দিছে,,, আমি দৌড়ায়া গিয়া রুহাইন্নারে কাছে গিয়া কইলামঃ হাই হাই তোমারা ওরে মেরে ফেলছ নাকি।
উল্টো আরও অই দুই মহিলা কইলোঃ মেরে ফেলছি ভাল করছি,, নয়তো আরও অনেক গুলা মেয়ের জীবন ও নষ্ট করত।
তারপর রুহান্নেরে তারাতারি এমবুলেন্সে কইরা মেডিক্যাল পাঠাইয়া,,,,ওই মহিলাডারে ওর বাড়িতে পাঠাইয়া,, আমার সাথের মহিলাডারে আমার সাথে লইয়া,, বাড়ির উদ্দেশ্যে ভাগা দিলাম।
বাড়িতে আইসা ফ্রেশ হইয়া যেই আমার রুমে গেলাম ,, দেখি মাইয়া আমার সেইই লেবেলের দুঃখি ভাব লইয়া চোখের জল ঝড়াইতেছে। আমি অর কাছে গিয়ে...
আমিঃ রিয়া,,প্লিজ কান্না করো না,,, যা হবার তাতো হয়েই গেছে।
রিয়াঃ তুই না হয় আমারে ভালোবাসছ নাই,, তাই অন্য একটা মেয়ের সাথে রিলেশনে যাইতে পারছিলি। কিন্তু রুহাইন্না। তোরা ছেলে জাতিটাই খারাপ
আমিঃ একটু আগে কি বললা! আমি অন্য কারও সাথে রিলেশনে গিয়েছিলাম মানে!
রিয়াঃ হ্যাঁ,, আমার কাছে প্রোভ আছে।
আমিঃ(প্রোভ কোথ থেকে দেখাবে,, আমিতো রিয়া ছাড়া অন্য কারও সাথে সম্পর্কে যাইনি) কিহ! কোথায় দেখাও তো।
*পরবর্তী পর্ব আগামীকাল দুপুর ২ টায় প্রকাশ করা হবে। by the grace of Allah 
