রিয়াঃ ( ওর মোবাইলে একটা ভিডিও দেখিয়ে) এই মেয়েটা কে?
(আমি ভালো করে লক্ষ্য করে বুঝতে পারলাম,, এটা আদ্রিতা,, ও আমার ফ্রেন্ড মামুনের ছোট বোন)
আমিঃ এটা তো আদ্রিতা।
রিয়াঃ কয় নাম্বার gf এটা?
আমিঃ what! Are you mad! এটা আমার ফ্রেন্ডের ছোট বোন। বাসায় যাওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলো রিক্সার জন্য। তো আমিও তখন তাদের বাসার ঔদিকেই যাচ্ছিলাম। তাই ওকে ওর বাসায় নামিয়ে দেয়েছি।
রিয়াঃ মিথ্যা কেন বলো,, তোমার ওর সাথে রিলেশন আছে।
আমিঃ দেখ ভাই,,, আমি তোরে সত্যিটাই বলছি,, এখন তুই বিশ্বাস করলে করতে পারিস,, আর অবিশ্বাস করলেও করতে পারিস,,,, তোর বিশ্বাস বা অবিশ্বাসে আমার কিচ্ছু যায় আসে না।
রিয়াঃ হ্যাঁ সেটাই তো,,,আমি তোমার লাইফে না থাকলেও তো তোমার কিচ্ছু হবে না,, তোমার তো আবার অভাব নেই।
আমিঃ মুখ সামলে কথা বলবা। আমি আর সবার মতো এক জনকে রেখে আরেক জনকে সামলাতে জানি না।
রিয়াঃ ওওওহ,,, তা এখন আমি রিলেশনে গিয়েছি তাতেই দুষ,, আর তুমি যে রাস্তায় বসে তোমার new gf আনিতাকে আমাদের বিয়ের ৯ দিন পরও নিজের হাতে ফুচকা খাইয়ে দিয়েছো। (ওর মুখে এই কথাটা শোনা মাত্রই আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না,,, ঠাসসসসস,, ওর গালে একটা কসিয়ে থাপ্পড় বসিয়ে দিলাম)
রিয়াঃ ( গালে হাত দিয়ে,, আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে,,চোখের কোণে পানি টলমল করছে ) সাদ,, তুত তুমি!
আমিঃ হ্যাঁ আমি,,, অনেক সহ্য করছি তোমার ফালতু বকবাকানি,, মিথ্যা আপবাদ আর কত দিবা,,,আমার লাইফটা তুমি বরবাদ করে দিয়েছো। আনিতা আমার ভাগ্নি হয়,,, ও মাত্র ক্লাস সিক্সে পড়ে,,, আর তুমি ওকেও রেহায় দিলানা,,, একটা মানুষের মনের চিন্তাধারা যে এতটা নিচু আর জঘন্য হতে পাড়ে,, তা আমার ভাবা ছিলো না। আর শুনো,,, আমি এই রিয়া ছাড়া আর অন্য কাউকে মন দিতে পারিনি,, তাই অন্য কারও সাথে সম্পর্কেও জড়াতে পারিনি। তুমি আদ্রিতা আর আনিতার সাথে কথা বলে দেখতে পাড়ো,, আর এই দুজনেই তোমার কথা খুব ভালো ভাবেই জানে ,,, আর তারা এ-ও জানে তুমি আমার বিবাহিতা স্ত্রী।
রিয়াঃ কিহ! তাহলে আফ্রিনও আমার সাথে বেইমানী করলো!
আমিঃ ( অবাক হয়ে) মানে!
রিয়াঃ ( আমার হাত ধরে) চলো এক্ষুনি আফ্রিনের বাসায় যাবো।
আমিঃ তোমার প্রয়োজন থাকলে তুমি যাও,, আমি যেতে পারবো না।
রিয়াঃ (আমার হাত টা ছেড়ে দিয়ে) অওঅঅহ তার মানে তোমার মনে ভেজাল আছে,, তাই তুমি যেতে চাচ্ছো না।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে চল।
তারপর রিয়াকে নিয়ে বাইকে করে সোজা আফ্রিনের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম । প্রায় ১০ মিনিট পর আফ্রিনের বাসায় পৌছে কলিং বেল চাপ দিতেই,, আফ্রিন দরজা খুলে আমাদের দুজনকে এক সাথে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো।
আফ্রিনঃ ( কাপা কাপা গলায়) রিয়া এএএ সময়ে তুই,, আমাকেতো আসার আগে জানালিও না।
আমিঃ (আফ্রিন কে উদ্দেশ্য করে) আচ্ছা তোমার সশরীরের অবস্থা এখন কেমন?
আফ্রিনঃ জী ভাইয়া ভালো।
রিয়াঃ কিরে আফ্রিন ঘরে আসতে বলবি না?
আফ্রিনঃ( তুতলাতে তুতলাতে) হ্যাঁ,, সেকি,,,গগ ঘরে আয়।
তারপর আমি আর রিয়া আফ্রিনের ঘরে যেতেই রিয় আফ্রিন কে জিজ্ঞেস করলঃ আফ্রিন তোর হাসবেন্ড কোথায়?
আফ্রিনঃ ও তো অফিসে একটু বাইরে গিয়েছে।
রিয়াঃ অওহ,,দেখ আফ্রিন,, তুই অসুস্থ তাই তোকে কোনো প্রেসার ক্রিয়েট করতে চাচ্ছিনা। তুই শুধু এতটুকু বলে দে যে আমি তোর কি ক্ষতি করেছি,, যার জন্যে আমাকে তুই এত বড় শাস্তি দিলি।
আফ্রিনঃ আ আমি আবার কি করলাম?
রিয়াঃ তুই গত মাসে আমাকে কয়েকটা ছবি দেখিয়েছিলি,, যেখানে সাদ আনিতাকে ফুচকা খাইয়ে দিচ্ছে। আর তুই এও বলেছিলি যে সাদের সাথে নাকি আনিতার সম্পর্ক রয়েছে। আর এটা তুই আনিতার মুখ থেকেই জেনেছিলি।
আফ্রিনঃ( চুপচাপ হয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে বসে আছে)
রিয়াঃ কি বেপার! কিছু বলছিস না যে? তুই আমার সাথে এটা কেমনে পারলি! (রিয়া কান্নাজরিত কন্ঠে) অন্তত তুই তো জানতিস,, আমি সাদ কে কতটা ভালোবাসতাম 
। ওর সাথে সম্পর্কে যাওয়ার কিছুদিন পরই রোহান আমাকে আজেবাজে কিছু মিথ্যে নাটক সাজিয়ে আমার কাছে সাদ কে কারাপ বানিয়ে আমাকে সাদ এর জীবন থেকে সরিয়ে দিয়েছিলো। ভেবেছিলাম বিয়ের পর অন্তত সাদ কে আমি আমার রুপের জালে ফাসিয়ে আমার প্রেমে ফেলে দেবো। ভাবতাম ওতো অন্য কারোর সাথে রিলেশন বিয়ের আগে করেছে,,, বিয়ের পর তো অনেকেই আছে যারা ভালো যায়,,, অথচ দেখ সদ কিন্তু আমি ছাড়া কখনও কারোর সাথে রিলেশনেই যায়নি। এই ছেলেটা আমার সুখের জন্য সব করেছে। আর বিনিময়ে আমি তাকে শুধু কষ্ট ই দিয়েছি। তুই জানিস আফ্রিন ও আমাকে কতটা ভালোবাসে? দেখনা তুই আমাদের বিয়ের ৯ দিনের মাথায় যখন আমাকে জানিয়েছিলি সাদ আনিতার সাথে রিলেশন করে। তারপর আবারও আমার মন ভেঙে গেলো,,,জানিস অনেক কান্না করেছি সেদিন। যেই মানুষটাকে এতোটা ভালোবাসি সেই মানুষটার কাছেই নিজে থেকেই ডিভোর্স চেয়েছি। আর ও আমার দুখের জন্য আমাকে ডিভোর্স দিতেও রাজি হয়েছে,,, আর ওর আম্মুর কাছে এই দুষ নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে আমাকে ওর আম্মুর কাছে ভালো মেয়ে হিসেবে রেখে দিয়েছে,,, অথচ দেখ ওর আম্মু এই কারণে আর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। একটা মানুষ কে আর কত কষ্ট দেওয়া যায়। আচ্ছা আফ্রিন তোর উপর আমার কোনো প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা নেই,,, শুধু এতটুকু আমি জানতে চাই,, আমি তোর কি এমন ক্ষতি করেছিলাম যে যার জন্য তুই আমাকে এতবড় একটা শাস্তি দিলি?
। ওর সাথে সম্পর্কে যাওয়ার কিছুদিন পরই রোহান আমাকে আজেবাজে কিছু মিথ্যে নাটক সাজিয়ে আমার কাছে সাদ কে কারাপ বানিয়ে আমাকে সাদ এর জীবন থেকে সরিয়ে দিয়েছিলো। ভেবেছিলাম বিয়ের পর অন্তত সাদ কে আমি আমার রুপের জালে ফাসিয়ে আমার প্রেমে ফেলে দেবো। ভাবতাম ওতো অন্য কারোর সাথে রিলেশন বিয়ের আগে করেছে,,, বিয়ের পর তো অনেকেই আছে যারা ভালো যায়,,, অথচ দেখ সদ কিন্তু আমি ছাড়া কখনও কারোর সাথে রিলেশনেই যায়নি। এই ছেলেটা আমার সুখের জন্য সব করেছে। আর বিনিময়ে আমি তাকে শুধু কষ্ট ই দিয়েছি। তুই জানিস আফ্রিন ও আমাকে কতটা ভালোবাসে? দেখনা তুই আমাদের বিয়ের ৯ দিনের মাথায় যখন আমাকে জানিয়েছিলি সাদ আনিতার সাথে রিলেশন করে। তারপর আবারও আমার মন ভেঙে গেলো,,,জানিস অনেক কান্না করেছি সেদিন। যেই মানুষটাকে এতোটা ভালোবাসি সেই মানুষটার কাছেই নিজে থেকেই ডিভোর্স চেয়েছি। আর ও আমার দুখের জন্য আমাকে ডিভোর্স দিতেও রাজি হয়েছে,,, আর ওর আম্মুর কাছে এই দুষ নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে আমাকে ওর আম্মুর কাছে ভালো মেয়ে হিসেবে রেখে দিয়েছে,,, অথচ দেখ ওর আম্মু এই কারণে আর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। একটা মানুষ কে আর কত কষ্ট দেওয়া যায়। আচ্ছা আফ্রিন তোর উপর আমার কোনো প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা নেই,,, শুধু এতটুকু আমি জানতে চাই,, আমি তোর কি এমন ক্ষতি করেছিলাম যে যার জন্য তুই আমাকে এতবড় একটা শাস্তি দিলি? আফ্রিনঃ এখানে তোর কোনো দুষ নেই,,, এখানে পুরো অপরাধ টাই আমার,, গত মাসে তোর ভাই(আফ্রিনের স্বামী) কিডনির সমস্যার জন্য মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছিলাম।
রিয়াঃ হ্যাঁ,,, সেটাতো আমি জানি।
আফ্রিনঃ কিন্তু তুই এটা জানিস না,, ওকে সুস্থ করে তুলতে আমার তখন ১০ লাখ টাকা লাগতো। জানিস আত্বিয় স্বজনের মধ্যে কারোর কাছে তখন একটা টাকাও পাইনি,, আমরা তো মধ্যবিত্ত,,, কোথা থেকে এত টাকা যোগাড় করবো বল! আর অন্য দিকে সাব্বির(আফ্রিনের স্বামীর নাম) মৃত্যুর মুখে ঢলে পরছিলো প্রতিটা মুহুর্তে ( কান্না করে দিয়ে) রিয়া তুই আমাকে শাস্তি দে,,, বিস্বাস কর সাদ ভাই অনেক ভালো,, আর তুই অনেক ভাগ্যবতী একটা মেয়ে,, যে সাদ ভাইয়ের একটা মানুষ কে তোর লাইফ পাটনার হিসেবে পেয়েছিস। রিয়া জানিস এই টাকার জন্য যখন আমার দিশেহারার মত অবস্থা তখন আমার কাছে একটা বাজে প্রস্তাব আসে,, আর সেই প্রস্তাব টা নিয়ে এসেছিলো রোহান । ও তখন বলেছিলো,, যদি আমি তোর চোখে সাদ কে খারাপ বানিয়ে,, তোদের আলাদা করতে পারি,, তাহলে রোহান আমাকে ১০ লাখ টাকা দিবে,,, আর আমিও আমার স্বামী কে বাচানোর জন্য,, এতো বড় একটা খারাপ করতে রাজি হয়েছিলাম।
।রিয়াঃ তুই শুধু মাত্র টাকার জন্য ছিহ,,,তুই আমাকে বলতে পারতি। আমি তোকে টাকা দিতাম।
ছিহ,,,তুই আমাকে বলতে পারতি। আমি তোকে টাকা দিতাম।আফ্রিনঃ আমাকে মাফ করে দে 
আমি খুব বড় অন্যায় করে ফেলছি।
আমি খুব বড় অন্যায় করে ফেলছি। রিয়াঃ ( আফ্রিনের কথায় কান না দিয়ে আমার হাত ধরে বলল) সাদ চল,, বাসায় যাবো।
তারপর রিয়াকে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। রাতে বিছানায় শুয়ে আছি,, এমন সময় রিয়া এসে আমার পা জরিয়ে ধরে কান্না করতে করতে বললঃ সাদ আমার ভুল হয়ে গিয়েছে,, আমাকে মাফ করে দাও।
আমিঃ দেখ,, যা হবার তা হয়ে গিয়েছে,,, এখন আর আমার কিছু করার নেই,,, ডিভোর্স পেপার টা হাতে আসলেই আমি সাইন করে তোমাকে মুক্তি দিয়ে দেবো।
*পরবর্তী পর্ব আগামীকাল দুপুর ২ টায় প্রকাশ করা হবে। by the grace of Allah 
