পরের দিন সকালে ঘুম ভাংলো কয়েকটা ষাড়ের চেচামেচিতে,,, চোখ খুলতেই দেখি এই গুলা কোনো জিবন্ত ষাড় নয়,, আমার পড়ানের হারমি বন্ধু অরুফে ভন্ডুগুলা।
আমিঃ কি বেপার! এই সাজ সকালে তোরা আমার বাসায় কোন দুঃখে!
রুবেলঃ তোরে ক্যালাইতে আসছি।
আমিঃ কেন! আমি কি তোর বইনেরে লইয়া ভাগা দিছি নাকি?
হাবিবঃ হারামজাদা একা একা বিয়ে করে নিলি,,, আমাদের একটা বার জানানোর প্রয়োজনও মনে করলি না।
আমিঃ ভাইরে হঠাৎ করেই হয়ে গিয়েছে। বিলিভ কর দুস্ত আমি নিজেই জানতাম না যে তখন আমার বিয়ে 
।
।রুবেলঃ শোন ভাই,, তোর এসব ঢপ বাজিতে আমাদের গলাতে পারবি না। দে এখন আমাদের ট্রিট টা দে।
আমিঃ লে খোকা,,, ট্রিট এটা আবার কি!
হাবিবঃ মাম্মা,, এসব নেকামো রাইখা চুপচাপ আমাদের ভলিউম টা দিয়ে দাও।নয়তো,,,,
আমিঃ নয়তো কি?
রুবেলঃ নয়তো তুমার বউয়ের কাছে ইনিয়েবিনিয়ে অনেক কাহিনি কইয়া দিমু
পরে ঠেলা বুঝবা।
পরে ঠেলা বুঝবা। আমিঃ তো যানা ( মনে মনে,,,, একটাবার চেহারা খান দেখলে এমনিতেই ঠান্ডা হয়ে যাবি
)
)মুহূর্তের মধ্যেই দুইড্ডা এক্কেবারে ভিলেনের মতো ভাব লইয়া কইলো,,,, আব্বে তোর বউ কই?
আমিঃ আমার রুমেই আছে 
যাও
যাও ২ মিনিট পর....
হারামি দুইড্ডা বদনার বদনা দুঃখ মনে লইয়া আমার কাছে ফিরিয়া আসিয়া কইলোঃ মামা কেমনে কি 
রিয়া তোর বউ!
রিয়া তোর বউ! আমিঃ ভাইরে সবই আমার বাল পাকনামির ফল (তারপর হারমিগুলারে সব কাহিনী খুইল্লা কইলাম)
রুবেলঃ তাহলে এখন কি করবি,,, রিয়া তোকে মেনেও নিচ্ছে না।
হাবিবঃ আরে দুস্ত সময় নে,,, মেয়ে মানুষের মন,, একটু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবি,, মাঝে মাঝে সারপ্রাইজ দিবি,, ওর ছোট ছোট আবদার গুলা পূরণ করবি,, ব্যাস কাজ হয়ে যাবে।
আমিঃ ধুরর,,, আরে বেটা মেনে নেওয়াটা জরুরি না,,, কিন্তু ও তো আমাকে সারাক্ষণ ই প্যারা দেয়,,, আমিনা প্যারা সহ্য করতে পারি না ।
রুবেলঃ আচ্ছা দুস্ত টেনসন করিস না,, সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের এখন যেতে হবে।
আমিঃ সেকি,,, নাস্তা করে যা,,
হাবিবঃ নারে দুস্ত,, বড় আপুর শরীলটা অনেক খারাপ,, উনাকে এখন দেখতে যাবো।
আমিঃ ওওও আচ্ছা তাহলে যা,,, আর আপুর কি অবস্থা সেটা জানাস।
তারপর রুবেল আর হাবিব চলে যাওয়ার পর,, আমিও একটু বাইরে হাটতে বের হলাম,,,বলে রাখা ভালো যে,,, অতিরিক্ত গরমের কারণে আমি লুঙ্গি পড়েই বের হয়েছিলাম,, রাস্তায় একা একা হাটতেছি আর গান গাইতেছি...
# ভালোই ছিলাম 
আমি হাঙ্গা না কইরা
হাঙ্গা কইরা এখন আমি
কান্দি বইয়া বইয়া
এমন সময় পাশে এক ভ্যান চালক ডাক দিয়ে বললো,, বাবা আমার ভেন টা ধাক্কা দিয়ে উঠায়া দিবা?
তাকিয়ে দেখি ভ্যানের একটা চাকা ভাঙ্গাই পড়ে আটকে গেছে,, লোকটা মোটামুটি বৃদ্ধ। তাই একা তার পক্ষে এই ভ্যান টা উঠানোর সামর্থ্য নেই। আমিও একটু মানবাতা দেখিয়ে ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে দিলাম।
তারপর একটু এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে যেইইই বাসায় পৌছালাম,, দেখি আম্মু ঠেংগা লইয়া আমার দিকে এগিয়ে আসছে,,, আমিও ফট কইরা আব্বুর পিছনে লোকাইয়া গিয়া আম্মুরে কইলামঃ আম্মু আবার কি হইছে!
আম্মুঃ এইই তোর কি কোনো কমনসেন্স নাই।
আমিঃ লে খোকা,, আমি আবার কি করলাম
তারপর আম্মু মোবাইলের স্ত্রিনের ইসারা করে বলল,,,এসব কি?
আমি যেই মোবাইলের স্ক্রিনে তাকালাম দেখি আমার লুঙ্গি পড়া একটা ছবি,,, খাইছেরে এটা তো একটু আগেই কেউ তুলছে,,,, আই মিন আমি একটু আগে ওই ভ্যান গাড়িটা যখন ধাক্কা দিচ্ছিলাম তখন তুলে নিয়েছে,,, আর ছবিতে ক্যাপশন দিয়েছে,,
বিয়ের রাত পাড় না হতেই,
ভ্যান চালকের খাতায় নাম লিখালেন এক যুবক। কেমনডা লাগে,,, এই কামডা ক্যাডা করলো 
আব্বুঃ এইই হারামজাদা,,, আমিকি তোকে কোনো দিন কোনো অভাব দিয়েছি,, তুই কি জন্য ভ্যান গাড়ি চালাইতে গেলি। উউউউহ আমার মানসম্মান আর কিছুই রাখলিনা।
আমিঃ আব্বু বিশ্বাস করো আমি ভ্যান গাড়ি চালাই নাই (তারপর সকালের ঘটনা পুরো টা খুলে বললাম)
আব্বুঃ সবই বুঝলাম, কিন্তু এই কাজটা করল কে?
আমিঃ আমিও তো ওটাই ভাবছি 
রিয়াঃ ( কান্না করতে করতে) আব্বু এটা আপনার ছেলের ই কাজ,, যেনো এই নিউজ দেখে আমার ফেমিলি অপমানিত হয়,, সেই জন্য এই কাজ করছে।
আমিঃ ওরে খোদা আমি কই যামু,,, নিজের সম্মান কোন বলদে ধুলায় মিশাইতে চায়!
আম্মুঃ আমি এত কিছু বুঝিনা,, তোকে কতবার মানা করছি,,, লুঙ্গি পইরা বাইরে বের না হতে! এখন এই নিউজ যে ভুল ওটা সবার কাছে প্রামান কর,,, নয়তো তোর এই বাসায় জায়গা নাই,,, ভ্যান চালায়া খাবি 
আমিঃ আচ্ছা
তারপর রুবেল কে কল দিলাম
রুবেলঃ ( রিসিভ করে) কিরে ব্যাটা ভ্যান চালায়া কত ইনকাম করলি
আমিঃ দেখ ভাই,, আমি একদম ই ফানি মোডে নাই,,, প্লিজ তুই তারাতাড়ি আড্ডাখানায় আয়।
রুবেলঃ আচ্ছা আসতেছি।
আমিঃ আর হাবিব কেও নিয়ে আসবি।
তারপর সোজা আড্ডাখানায় গিয়ে ৩ হারামি এক হইলাম,,,
রুবেলঃ আচ্ছা মূল কাহিনিটা একটু বলতো
তারপর আমি অদেরকে সব কাহিনী খুলে বললাম,,,
হাবিবঃ সবই বুঝলাম,,, কিন্তু এই কাজটা কে করেছে সেটা আগে আমাদের জানতে হবে। আর আইডি টাও তো ফেক। হ্যাক করা ছাড়া উপায় নাই।
আমিঃ প্লিজ ভাই যেই ভাবেই হোক আমাকে বাচা।
রুবেলঃ আচ্ছা আমি আমার ফ্রেন্ডকে এই আইডির লিংক টা দিচ্ছি,,, ও অনেক ভালো হ্যাকার,,, আশা করি আইডিটা হ্যাক করতে পারলেই,,, সব সমস্যার সমাধান করা যাবে।
তারপর রুবেল তার ফ্রেন্ড কে আমাদের সমস্যা খুলে বলে,,, তারপর আইডির লিংক টা ওকে দিয়ে দিলো,,,
