তারপর রুবেল তার ফ্রেন্ড কে আমাদের সমস্যা খুলে বলে,,, তারপর আইডির লিংক টা ওকে দিয়ে দিলো,,,
প্রায় ২ ঘন্টা পর,, রুবেলের ফ্রেন্ড জানালো আইডিটা হ্যাক করতে সক্ষম হয়েছে।
তারপর রুবেলের কাছে আইডির e-mail অ্যাড্রেস আর পাসওয়ার্ড পাঠালো। আমরা আইডিটাতে লগইন করে যা দেখলাম তা দেখার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না।
রুবেলঃ একি! এই আইডিটা তো কামরুলের(কামরুল হচ্ছে রুবেলের চাচাতো ভাই) ।
আমিঃ কিহ! কামরুইল্লা এই কাম করছে! হালারে আইজ্জা কুইট্টালবাম
।

হাবিবঃ আচ্ছা দুস্ত! আগে মাথা ঠান্ডা কর,,, কামরুইল্লারে সাইজ করতেছি।
আমিঃ রুবেল,,, কামরুইল্লারে কল দে।
রুবেলঃ দেখ দুস্ত,, ও তো আমার ভাই,,, এখানে আমি থাকলে প্রব্লেম হবে।
হাবিবঃ হুম,, রুবেল ঠিকি বলেছে। তা ছাড়া রুবেল আমাদের সাথে থাকলে ওকে আমরা কিছু করতেও পারবো না।
আমিঃ আমি এত কিছু বুঝিনা,,, তুই কামরুইল্লারে এখনি এখানে হাজির কর।
তারপর কামরুইল্লারে কল দিয়ে আমাদের আড্ডাখানায় হাজির কইরা,,, ক্লাবের দরজা লাগিয়ে ইচ্ছা মতো ক্যালানোর পর
..

মোহাম্মদ কামরুইল্লাঃ ওওওওওওয়া ওওওয়া ওওওওয়া
ওই তোরা দুইটা আমাকে এই ভাবে মারতেছিস কেন? আমি কি করেছি? উউউউউহুহু উউউউউউউউয়ুয়ুউউ


আমিঃ তা মামা,,, তুমি আমার লুঙ্গি পড়া পিক তুইল্লা এত সুন্দর একটা ক্যাপশন দিয়া ফেবুতে পোস্ট করলা কেন!
কামরুলঃ এএএএ,, এই পোস্ট আমি করি নাই।
হাবিবঃ অই হালা,,, তোর আইডির পাসওয়ার্ড কিন্তু আমাদের কাছে আছে। আর এই আইডি যে তোর তার অনেক প্রমাণ ও রয়েছে।
কামরুলঃ কিন্তু আইডির পাসওয়ার্ড কেমনে পাইলি!
আমিঃ পেয়েছি কোনো এক ভাবে,,, এখন বল তুই এই আকাম কার কথায় করছিস।
কামরুলঃ ভালো করছি,,, মনে আছে,,, আমার জরিনার সাথে রিলেশনটা কিভাবে ভাংছিলি। ৭ মাস সাধনা করে ওর সাথে সম্পর্ক টা করেছিলাম। তারপর ছকিনার সাথে রিলেশনে গেলাম,,, ৩ মাস আগে ওই রিলেশন টা কি ভাবে ভাংছিলি মনে আছে!
( গত ৩ মাস আগে.... বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম,, তখনই খেয়াল করলাম কামরুইল্লা ছকিনার সাথে বইসা মনে সুখে প্রেম চালাইয়া যাইতাছে। আমি কামরুল কে জিজ্ঞেস করলাম,, মামা কি অবস্থা,,, হালায় তার গফ এর সামনে এমন ভাব লইল যেনো,, আমাকে ও চেনেই না। তারপর কামরুলের গফ ছকিনা কামরুল কে জিজ্ঞেস করল ঃ বায়ায়াবু
এই হ্যান্ডু টা কে গো
। আর সাথে সাথেই কামরুইল্লা কইলোঃ আরে এলাকার পুলা ,, মাঝে মাঝে হেল্প টেল্প করি ,,, তাই যেখানেই আমাকে দেখে একটু সম্মান করে আরকি
।



আমি মনে মনে কইলামঃ দেখছনি কারবারটা,, হালায় ওর গফ এর সামনে আমারে ছোট করছে,,,দাড়া তোরে বাশটা দিতেছি,,,তারপর যেই ভাবা সেই কাজ,, কামরুইল্লারে ওর গফের সামনেই কিছু ভাষণ শুনায়া দিলামঃ কিরে কামরুইল্লা তোর মধ্যে কি একটু ও মনুষ্যত্ব নাই। কয়েক মাস আগে জনিনার লাইফ টা শেষ করলি,, মাইয়াডা এখন ওপারে যাবে যাবে
,,,তারপর গেলি মরজিনার লাইফে,, এখন মরজিনারে নদীর পাড়ে দাড় করিয়ে রেখে,, এইখানে আরেক মাইয়ার লগে টাংকি মারস
,, আর কয়ডা মাইয়ার জীবন এইভাবে নষ্ট করবি! মরজিনা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে,, আমি আসার সময় তোর কথা জিজ্ঞেস করছিল। ভালো হ
।



কথাগুলা এক নিমিষে কইয়াই ,, পেন্টের পকেটে হাত ঢুকাইয়া থুক্কু তখন লুঙ্গি পড়া ছিলাম
লুঙ্গির এক কোণা কাধের উপর তুইলা,, এক বালতী খুশি মনে লইয়া এক্কেবারে তামিল সিনেমার নায়কদের মতো স্টাইল কইরা ওই স্থান থেকে ভাগা দিলাম
আর ততক্ষণে কামরুল আর ছকিনার প্রেম কাহিনী ইতিহাসের স্মৃতির পাতায় স্থান করিয়া লইল
)



আমিঃ দেখ ভাই ওই ঘটনার জন্য আমি সত্যিই লজ্জিত
,, কিন্তু হালা তুই আমারে সবার কাছে এই ভাবে ছোট করতে পারলি। তুই তো আমার ল্যাংটা কালের দোস্ত ছিলি,, তুই একটা মাইয়ার জন্য আমার উপর প্রতিশোধ নিতে পারলি!

কামরুলঃ আসলে আমি এই কাজটা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য করি নাই। আসলে তোর বউ রিয়ার কথায় আমি এই কাজটা করেছি।
হাবিবঃ কিহ! রিয়ার কথায় তুই সাদ কে এই ভাবে ছোট করতে পারলি! অই হারামজাদা রিয়া তোরে কত টাকা দিয়েছে?
কামরুলঃ আজব টাকার জন্য কেউ এসব করে নাকি! রিয়া বলছে এই কাজটা করতে পারলে,, ফুল্টুশির সাথে আমার লাইন টা করিয়ে দেবে,, তাই করছি।
কামরুইল্লার মুখে এই কথাটা শোনা মাত্রই আর এক মুহুর্ত ও দেরি না কইরা আমি আর হাবিব আবারও আধা ঘণ্টা এই হালারে ক্যালাইলাম। তারপর ওর গুল্টু মার্কা চেহারাটার কয়েকটা ছবি তুইল্লা ওর এই আইডিতেই ( যেই আইডিতে আমার লুঙ্গি পরা ছবিটা পোস্ট করেছিলো) ওর ছবিগুলা পোস্ট কইরা ক্যাপশন দিলাম...
"সাদ ভাইয়ার নামে মিথ্যা গুজব ছড়ানোর পর আমার বর্তমান অবস্থা

তারপর কয়েক বস্তা রাগ মাথায় লইয়া বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলাম,,, নাহ রিয়াকে আজকে একটা শিক্ষা দিয়েই ছাড়বো,, হারামজাদি বহুত বাইরা গেছে 

তারপর বাসায় প্রবেশ করে যেই আমার রুমে ঢুকলাম,, রিয়ারে দেইক্ষাতো ভাই আমি অক্করে কাইত হইয়া গেছি
ভাইরে আমার পছন্দের কালার ব্ল্যাক কালারের শাড়ি পড়ছে
তার উপর আবার হাতে লাল চুড়ি,, খোলা চুল,, পায়ে নুপুর,,, এই ভাইইই,,, এই মাইয়া কি আমারে ক্রাশ খাওয়াইতে খাওয়াইতে মাইরালবোনি 



রিয়াকে দেখা মাত্রই আমার বস্তার বস্তা রাগ মুহুর্তের মধ্যেই রকেট বিহীন মংগল গ্রহে ভাগা দিলো।
তারপর...
# আখ খেতে ছাগল বন্দি,
জলে বন্দি মাছ
নারীর প্রেমে পুরুষ বন্দি,
ঘোড়ায় বারো মাস

সখি গোওঅঅঅঅও
আমার মন ভালা না,,,
এই কুখ্যাত গানটা গাইতে গাইতে এক্কেবারে চাঁদে থুক্কু ছাদে চইলা আসলাম।
ছাদে বসে গল্প লিখছিলাম,, এমন সময় রিয়া এসে বললঃ কি মিস্টার খাবেন না?
আমিঃ আচ্ছা ভাই তুই চাসটা কি বলতো।
রিয়াঃ মানে কি! আবারও ঝগড়া করবা?
আমিঃ এএএএ ভাই তোর প্রব্লেম টা কি? তুই কামরুইল্লারে দিয়া আমার এমন ব্যাড পিক ফেবু তে পাব্লিশ করলি কেন?
রিয়াঃ আপলোড করছি ভালো করছি
আরও করমু। তুই কি যেনো বলছিলি,, আমি তোর জীবন ত্যানা ত্যানা কইরা দিছি,, এখন বুঝবি,, কত ধানে কত চাল,, প্যারা যে কি,,, সেটা টের পাবি। সবে তো মাত্র শুরু
( কথাগুলো বলেই রিয়া ছাদ থেকে নিচে চলে যেতে লাগলো আর আমি মদনের মতো নিজের গালে নিজেই থাপ্পড় দিয়া কইলাম,,, সাদ,, ভাই তুই গেলি
)



তারপর এক বালতী সমবেদনা মনে লইয়া,, নিচে গেলাম খাবার খাওয়ার জন্য,, খাওয়া দাওয়া শেষ করে,, রুমে গিয়ে একটু বিশ্রাম নিতেছি,, এমন সময় আব্বু আর আম্মু আমার রুমে আসলো,,
আমিঃ তোমরা?
আম্মুঃ আচ্ছা তুই কি চাস বলতো,, তখন তো বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলি,, এখন বৌমাকে মেনে নিচ্ছিস না কেন!
আমিঃ আম্মু সত্য বলতেছি,, আমি রিয়াকে মেনে নিলেও ও আমাকে মেনে নিচ্ছে না।
আম্মুঃ কিহ! নিজের দোষ এখন বৌমার উপর চাপাচ্ছিস! লজ্জা করেনা তোর 

আমিঃ (আব্বুর মাথায় হাত দিয়ে) এইই আব্বুর মাথায় হাত দিয়ে বলতেছি,, আম্মু আমি সত্যি ( এতটুকু বলতেই আব্বু ফট কইরা আমার থেকে ৩ ফুট দুরে গিয়া কইলো)
আব্বুঃ ওই তুই একদম আমার মাথায় হাত দিয়ে কসম বলবি না,, আমি এই অল্প বয়সে মরতে চাই না। ( ওরে,,, মারো,, মুঝে মারো,,
)

আমিঃ আচ্ছা আম্মু,, রিয়া কোথায়?
আম্মুঃ কিচেনে আছে। কেন?
আমি আম্মুর কথার কোনো জবাব না দিয়েই কিচেনে চলে গেলাম,,, তারপর রিয়ার কাছে গিয়ে নরম গলায় বললামঃ রিয়ায়ায়া

রিয়াঃ হুম বল।
আমিঃ আমি তোমার সব কথা শোনব,, কখনও তোমার কথার অবাদ্য হব না,, প্লিজ আব্বু আম্মুকে ম্যানেজ করো।
রিয়াঃ ( আমার একেবারে কাছে এসে,,ওর দুই হাত দিয়ে আমার কলার ধরে আমাকে একেবারে কাছে টেনে নিয়ে )এই তো লক্ষি ছেলের মতো কথা,,, ( আমার আগুল দিয়ে স্পর্শ করে) আমার সোনাটা,, বাবুটা
,, তা এই কথাটা মনে থাকবে তো।
