রিয়াঃ ( আমার একেবারে কাছে এসে,,ওর দুই হাত দিয়ে আমার কলার ধরে আমাকে একেবারে কাছে টেনে নিয়ে )এই তো লক্ষি ছেলের মতো কথা,,, ( আমার আগুল দিয়ে স্পর্শ করে) আমার সোনাটা,, বাবুটা
,, তা এই কথাটা মনে থাকবে তো।

আমিঃ(মাথা ঝাকিয়ে হু সম্মতি প্রদান করলাম)
রিয়াঃ শোন,, এখন থেকে তুমি প্রতি রাতেই নিচে ঘুমাবা। আর আমার সাথে একদমি ঝগড়া করবানা। আর রাতে ঘোমানোর সময় দরজা আনলক করে ঘুমাবা। আমার বিছানা প্রতিদিন পরিপাটি করে রাখবা,, মাঝে মাঝে আমার পা টিপে দিবা,, কেমন

আমিঃ ( উউউউফফ মেজাজটা পুরাই ৪২০ হইয়া যাইতাছে,, না না এখন রেগে গেলে চলবে না,, আব্বু আম্মুকে শান্ত করতে হলে এখন আমাকে হ্যাঁ বলে দিতে হবে,, তারপর বাকিটা বুঝামু
) আচ্ছা বাবু


রিয়াঃ এইতো আমার লক্ষি সোনাটা
এইইই নাও তোমার একটা ফ্লাইং কিস
উউউউউউউউম্মম্মম্মাহ 



আমিঃ ( মনে মনে,,, যা আগে আব্বু আম্মুরে সামলা,, পরে ঠেলা বুঝাইতেছি) আলাবু বেপি

রিয়াঃ হু,, আলাবু ঠু সোনা 

তারপর রিয়া আব্বু আম্মুর কাছে গিয়ে...
রিয়াঃ আম্মু আপনার ছেলে তার সব ভুল বুঝতে পারছে। প্লিজ আপনারা ওকে আর কোন প্রেশার ক্রিয়েট কইরেন না। আসলে অনেক ভালো একটা ছেলে। ওর প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই। (কথাগুলো বলেই রিয়া আবারও কিচেনে চলে গেলো)
আম্মুঃ ( আমার কাছে এসে,, আমার পেটে গুতা দিয়া) এত দিনে বুঝতে পারছিস
(তারপর সেই লেবেলের একখানা ভেটকি মাইরা আম্মু আর আব্বুও আমার রুম ত্যাগ করিলো)

তারপর আমিও সেইই লেবেলের ভাব লইয়া বাসা থেকে বের হতে যাব,, ঠিক তখনই মনে পড়লো,,, আরে আমিতো লুঙ্গি পরা,,, খাইছেরে,,, আগের বাঁশ টার কথা মনে কইরাই দুঃখের ঠেলায় অক্করে কাইন্দালছি,,, ওওওওয়া,,, ওওওওওয়া,, ওওওওয়া,,, আমার লুঙ্গি

তারপর আবারও রুমে আইসা আমার সাধের লুঙ্গি খুইলা,,, প্যান্ট পইরা আড্ডাখানার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
রাস্তায় হাটতেছি এমন সময় হাবিবের Ex এর সাথে দেখা
ওমা সাথে একটা পিচ্চি কিউট পোলাও আছে। আসেন ভাই এই মাইয়াডারে একটু চেতাইয়া আসি 


আমিঃ (হাবিবের Ex কে উদ্দেশ্য করে) আরে জান্নাত তুমি
( হাবিবের Ex এর নাম জান্নাত)

জান্নাতঃ হ্যাঁ সাদ ভাই। কেমন আছেন?
আমিঃ জি আলহামদুলিল্লাহ। (তারপর জান্নাতের সাথে পিচ্চিটাকে জান্নাত কে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলাম) বাবু উনি তোমার কি হয়?
পিচ্চিঃ আংকেল,, উনি আমার আম্মুনি হয়।
আমিঃ আরে ব্যাটা উনি তোর আম্মু হইলে আমারে ভাই ক ভাই,, কারণ আমার বন্ধুও তোর আম্মুর বাবু ছিলো 

পিচ্চিঃ ওমা তাই
তাহলে তো তুমি আমার ভাইয়া ই হও।

জান্নতঃ ( এক বালতী রাগ মাথায় লইয়া) এই,, আপনি কখনই শোধরাবেন না।
(ঠিক তখনই একটা ভুড়িওয়ালা পাব্লিক আইসা জান্নাত কে জিজ্ঞেস করলঃ জানু কি হইছে? )
জান্নাতঃ না জানু তেমন কিছু না।
আমিঃ জান্নাত
তোমার বর নাকি?

জান্নাতঃ জী ভাইয়া। আর হ্যাঁ আমার বর মোটেও আপনার ফ্রেন্ড এর মতো না,, আমাকে একটুও অবহেলা করে না,, সব সবই ছায়ার মতো আমার সাথে থাকে।
আমিঃ ওওও হাগু করতে গেলেও সাথে যায় নাকি
( কথাডা কইয়াই খেইচ্চা দৌড়)

আর পিছন থেকে জান্নাত ঝড়ের বেগে গালাগাল দিয়ে যেতে লাগলোঃ তোর কপালে বউয়ের আদর নাই,,, তোর বউ তোরে দিয়া ঘরের কাজ করাবে
হারামি কুত্তা, ইতর। কথাগুলো মিলিয়ে নিস 


আমিঃ (একটু দাড়াইয়া কইলাম) তাতেও সমস্যা নাই,, তোমারটার মতো ওমন ভুরিওয়ালা না হইলেই হয়
( কথাডা কইয়াই আবারও দৌড় লাগাইলাম)

প্রায় সাড়ে তিন মিনিট দৌড়ানোর পর আড্ডাখানায় পৌছালাম।
রুবেলঃ কিরে বেটা,, এমন ভাবে হাপাচ্ছিস কেন!
আমিঃ আরে ব্যাটা বলিস না,, আসার সময় হাবিবের Ex এর সাথে দেখা
তারেই একটু চেতাইয়া আইলাম,, ( হাবিরের Ex এর কথাটা বলতেই,, লক্ষ্য করালাম,, হাবিবের মুখটা একটু মলিন হয়ে গেলো,, হাইরে চেচারা হয়তো ইমোশনালি আপসেট হয়ে গেছে)

আমিঃ (হাবিবের পাশে বসে,, ওর পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে) দুস্ত,, প্লিজ মন খারাপ করিস না,, দেখিস তোকে জান্নাতের থেকে অনেক ভালো মেয়ে বিয়ে করাবো।
হাবিবঃ ( একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে) আরে বেটা আমি আমার জন্য আপসেট হই নাই,,,ভাবতেছি জান্নাতের বরের কথা,, বেচারা কত কষ্টে না জানি আছে
।

আমিঃ
কি ভাবলাম আর কি হইলো!

তারপর হারামিগুলার সাথে কিচ্ছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম,,
রুমে বসে ফেসবুক করছিলাম এমন সময় রিয়া রুমে এসে বললোঃ বাবুইই,, এবার লক্ষি ছেলের মতো আমার বিছানাটা করে ফেলেতো।
আমিঃ জী,, আমাকে বলছেন 

রিয়াঃ ওই হারামজাদা,, কথা কানে যায় না। বিছানা কর,, নয়তো আন্টিকে উল্টাপাল্টা বলে,, তোকে বাঁশ খাওয়াবো।
আমিঃ তুমি সব সময় আম্মুর কাছে এমন
মিথ্যা বলে আমাকে বকা খাওয়াও 

রিয়াঃ বেশ করি,,, এখন চুপচাপ আমার কথা শোন। নয়তো কপালে শনি আছে।
আমিঃ আব্বে যাহহ,, আম্মুকে নিয়ে আয়,, দেখি আম্মু কি করতে পাড়ে।
রিয়াঃ কি বেপার! তুই আমাকে ভয় পাচ্ছিস না কেন?
আমিঃ ( টেবিলের উপর থেকে মোবাইল টা আমার হাতে নিয়ে ভিডিও রেকর্ড টা সেভ করলাম
) ভয় তো এবার তুই পাবি,,

রিয়াঃ মআ মানে কি! তুই এতক্ষণ আমার কথা ভিডিও করছিস।
আমিঃ জি ম্যাম,, আপনার সব কাহিনী আমার এই মোবাইল টাতে রেকর্ড হয়ে গেছে,,
রিয়াঃ ইয়ে মানে,, তুমি কিন্তু এটা ঠিক কর নাই। আমিতো তোমার সাথে ওসব মজা করে করতাম 

আমিঃ আচ্ছা বাবু,, তাহলে এখন আমিও মজা করে আম্মুকে এই ভিডিও টা দেখাই গিয়ে। ( কথাটা বলেই বিছানা থেকে উঠে আম্মুর রুমের দিকে যাওয়ার জন্য যেই পা বাড়ালাম,, তখনই রিয়া আমার হাত চেপে ধরে)
রিয়াঃ প্লিজ ওমনটা করো না,,, উনি আমাকে খারাপ ভাব্বেন।
আমিঃ ওমা,, তাহলে আমাকে যখন খারাপ ভাবে ,, তখন কি আমার কষ্ট হয় না 

রিয়াঃ প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও,, আমিতো তোমার বউ। তুমিকি আমাকে সবার কাছে ছোট করতে চাও।
আমিঃ ( আমি রিয়ার একেবারে কাছে গিয়ে ওর গালে আংগুল দিয়ে স্পর্শ করে) আচ্ছা সোনা ,, এই ভিডিও টা কাউকে দেখাবো না,,,কিন্তু এখন থেকে আমি যা বলবো তোমাকে তাই করতে হবে,,আর তুমি এখন থেকে নিচে ঘুমাবা,, , এবার লক্ষি মেয়ের মতো আমার পা টা টিপে দাও তো 

রিয়াঃ ( গুলুগুলু হয়ে) দেখো,, এটা কিন্তু একদম ঠিক হচ্ছে না,,,
আমিঃ তাহলে ভিডিওটা দেখাই গিয়ে 

রিয়াঃ আরে ওমন করো কেন! আচ্ছা দিচ্ছিতো,,,
(আয়ায়ায়াহহহ সুন্দরী মাইয়ার হাতে পা টিপানোর মজাই আলাদা,,, উউউউউহহহ প্রষুর ভাল্লাগছে
)

এমন রুমে আম্মু এসে,,
আম্মুঃ এইইই,,, তোর কি কোনো বুদ্ধি সুদ্ধি নাই,,, নতুন বউয়ের হাতে পা টিপাচ্ছিস।
*পরবর্তী পর্ব আগামীকাল দুপুর ২ টায় প্রকাশ করা হবে। by the grace of Allah 
