Type Here to Get Search Results !

ভালোবাসা দিবি কিনা বল (পার্টঃ১)

 লিখেছেনঃ Md Asif


: ইস, কী মাল যাচ্ছে গো

: হ্যা, তাইতো
: কী ফিগার দেখেছিস। মন চাচ্ছে এক্ষণি যাই।
কথাগুলো শুনে মুখটা আমার একেবারে
আলুর মতো হা হয়ে গেল। কী ভাবছেন
কথাগুলো কোনো ছেলে একটি মেয়েকে
বলছে। কিন্তু না একদল মেয়ে একটি
ছেলেকে বললো। আল্লাহ গো কোন
জগতে আইলাম আমি। এখানে
মেয়েরা ছেলেদের টিজ করে। না
জানি আমার মতো ভদ্র ছেলেদের কী হবে।
ও হ্যা, আমি একজন ভদ্র ছেলে। আমার
মতো ভদ্র সাতক্ষীরায় একপিছ নাই।
নাম আমার সোহেল হোসেন নয়ন।
এইবার ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে উঠসি।
কলেজে প্রথম দিন এসেই ছেলেজাতির
এমন অসহায়ত্ব লক্ষ্য করলাম এই কলেজে।
তাড়াতাড়ি কেটে পরি নইতো
আবার আমাকে না ধরে টিজ করা শুরু করে।
যাক আব্বা, বেচে গেলাম। একজনের কাছ
থেকে ক্লাসের অবস্হান জেনে নিয়ে
ক্লাসে গেলাম। আহ কী শান্তি, এখানে
এত চিৎকার চেঁচামিচি হচ্ছে যে
মনে হচ্ছে আমি কলেজে না আবার
প্রাইমারিতে ভর্তি হয়েছি। মাঝের
একটা বেন্চে যেয়ে বসলাম। কিন্তু
হঠাৎ করে সকল কলরব
থেমে গেল। একেবারে পিনপতন
নিরবতা নেমে আসলো পুরো ক্লাসের ভিতরে।
এমন নিরবতা আসে একমাত্র
ঝড় আসার পুর্বে। মনে হয় কেউ একজন
আসছে। ক্লাসে প্রবেশ করা গেটের দিকে
তাকিয়ে দেখি সেই মেয়েগুলা যারা টিজ
করছিল। এইবার বুঝছি কেন ক্লাসে নিরবতা
নেমে আসছিলো। আমি ওদেরকে খুটিয়ে
খুটিয়ে দেখতে লাগলাম। সকলের পরিধান
করা জিস্ন আর শার্ট। জিস্ন আবার ছেড়া।
এদের মধ্যে একটা মেয়েকে দেখলাম বেশ সুন্দরি। বেশ না অনেকখানি সুন্দরি।
ক্রাশ খাওয়ার মতো। আমি আবার এইসব
কুখাদ্য খাই না। অবশেষে স্যার ক্লাসে
আসলেন। পরিচয় পর্ব শুরু হলো। যেই মেয়েটার
কাছে আসলো। তখনি স্যার -
: তুমি বস মামনি
: কেন?
: তোমার পরিচয় তো আমরা সকলে জানি।
: তাও আবার বলি। আমি এই এলাকার
ওসির মেয়ে। আমার সাথে কেউ বেশি
লাগতে আসবি না। তাহলে ১২ টার খবর
বানিয়ে ছাড়বো।
যেটা বুঝলাম মেয়েটা খুব অহংকারি এবং বদমেজাজি। ওহ মেয়েটার নাম হলো তাসমিম
নাহার। এই রকম একটা মেয়ের নাম এতোটা
সুইট হবে সেটা আমার ভাবনায় আসে নাই।
মেয়েটার নাম জেসমিন,নাসরিন অথবা
ময়ুরি। অবশেষে আমার পরিচয় পর্বের
পালা। স্যার বললেন -
: এই যে মি.ক্ষ্যাত
: জ্বী, আমাকে বলছেন
: তুই ছাড়া আর কে এমন ক্ষ্যাত আছে
আমাদের ক্লাসে ( তাসমিম)
আসলে আমি এমন পোশাক পরেছি
যে আমাকে একেবারে ক্ষ্যাতের মতো লাগছে।
ক্লাসের কেউ জানে না আমি কে এবং আমার
বাবা কে?। আমি সাধারণ হয়ে চলতে
পছন্দ করি তাই এমন পোশাক। আমি কে আর
আমার বাবা কে সেটা সকলে পরে জানতে পারবেন। বাস্তবে আসি।
: কী হলো মি.ক্ষ্যাত কোথায় হারিয়ে গেলে ( স্যার)
: জ্বী, স্যার কোথাও না।
: তোমার বাবা কী করে?
: জ্বী স্যার মুদি দোকানদার ( মিথ্যা বললাম। কারণ আমার বাবার পরিচয় জানলে
সবাই আমার সাথে ভাল ব্যাবহার করবেন।
আমি এমন কৃত্তিম ভালবাসা চাই না)
কথাটা বলার সাথে সাথে প্রায় সকলে
আমার দিকে এমন চোখে তাকালো
যেন আমি কোনো এলিয়েন। যারা আমার
দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকাই নি তারা মনে
হয় আমার বলতে আমার কথিত বাবার
সমপর্যায়ের পরিবার থেকে আগত।
প্রথম ক্লাস শেষ হওয়ার পর
আমি কিছু ছেলের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করে নিলাম।
অন্য কেউ আমার দিকে ফিরেও তাকালো না।
আমি জানতাম এমনটাই হবে। এইভাবে কলেজের প্রথম দিন শেষ হলো।
আমি বাড়ি যাওয়ার জন্য গেট পার হবো
সেই সময় তাসমিম আমাকে ডাকলো
: এই ক্ষ্যাত, এদিকে শোন
: জ্বী, বলেন
: শোন তোর এই ক্ষ্যাত মার্কা চেহারা যেন
আমি আর না দেখি।
: ঠিক আছে।
আমি যেই চলে আসার জন্য পা বাড়ালাম
সেইসময় ওদের মধ্যে একজন আমাকে
পা দিয়ে বাধিয়ে মাটিতে ফেলে দিল।
আমাকে পড়তে দেখে সকলে হেসে দিল।
আমি কিছু না বলে চলে আসলাম।
ও হ্যা আমরা দুই ভাই। আমার বড় ভাই বিবাহিত। সে এসিপি। কিন্তু আমি কাউকে
বলি না। বাসি আসার পর ভাবি বলল-
: কী ব্যাপার দেবর সাহেব, কলেজের প্রথম
দিন কেমন লাগলো।
: ভাল কেটেছে জানের ভাবি।
: কিন্তু এ'কি তোমার............

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.