লিখেছেনঃ Md Asif
মানুষের জীবনে সুখ
চিরদিন থাকে না। বছর খানিক আমার জীবনটা স্বপ্নের মতো কাটলো।
কারণ হলো নিশাত।
কিন্তু কিছুদিন পর থেকে
আমার জীবন পাল্টে
যেতে থাকলো।
নিশাত কেমন যেন হয়ে গেলো।
আমার সাথে ঠিকমত
কথা বলে না, দেখা করে না।
আমাকে এড়িয়ে যেতে লাগলো।
অচেনা মানুষের মতো আমার
সাথে ব্যবহার করতে লাগলো।
নিশাতের এত অবহেলা
আমি আর নিতে পারছি না।
নিশাতের সাাথে ৩ দিন
কথা বলি নাই। ফোন করেছি
ধরে না আবার ওর
স্কুলের সামনে গিয়েছি কিন্তু
ওকে স্কুলে আসতে দেখিনাই।
কী হয়ে গেলো আমার এটা।
নিজেকে আর ঠিক রাখতে
পারছি না। আজকে নিশাতের
স্কুলে গেলাম এই আশায়
যে নিশাত আসবে।
কিছুক্ষণ থাকার পর
নিশাতকে দেখতে পেলাম। মনের
ভিতর একটা শান্তির
পরশ বয়ে গেলো।
নিশাতকে দেখতে আজ
এতটা শুকনা লাগছে কেনো।
ওর কী কিছু হয়েছে?।
আমি দৌড়ে নিশাতের কাছে গেলাম।
: তোমার কী হয়েছে নিশাত?
ঠিক আছো তো?
: হুম। আমি ঠিক আছি।
: তোমাকে এত দিন পর দেখলাম।
তোমার মুখটা এত শুকনো কেন?
: বলছি তো আমার কিছু হয় নি। ( রাগি স্বরে)
: তোমার ফোনে কল দিলাম ধরলে না,
এতদিন তোমার সাথে
আমার দেখা নাই। স্কুলেও আসলে না।
জানো এই কয় দিনে
তোমার সাথে দেখা না
করে এবং কথা না বলে
আমি কত কষ্টে ছিলাম।
: ওহ, এইসব ন্যাকামো বাদ দাও তো
: তোমার কাছে এইসব ন্যাকামো মনে হচ্ছে?
: ন্যাকামো ছাড়া আর কী।
: তুমি আমার সাথে এমন
ব্যবহার করছো কেনো।
আগে তো এমন ছিলে না।
: এইসব বাদ দাও। পথ ছাড়ো আমি স্কুলে যাবো।
: আগে তো আমার সাথে
কথা বলার জন্য কত ক্লাস বাদ
দিয়েছো আর এখন ক্লাস বড় হয়ে গেলো।
: আমার পথ ছাড়ো।
: এমন পাল্টে গেলে কেন তুমি?
: কীসের পাল্টে গেলাম আমি।
ক্লাস বাদ দিয়ে তোমার
এইসব ফালতু কথা শোনার
টাইম নাই আমার কাছে
: আমার কথাগুলো তোমার
কাছে ফালতু মনে হয়?
: তো আর কী। শোনো আমাকে আর ডিস্টার্ব করবে না।
: আমি কী তোমাকে সত্যিই
তোমাকে ডিস্টার্ব করি?
: হ্যা করো, তোমার সাথে আর
আমি সম্পর্ক রাখতে পারবো না।
: এমন কথা তুমি বলো না।
আমি তোমাকে ছাড়া বাচতে
পারবো না। আমি তোমাকে
ছাড়া বাচতে পারবো না নিশাত।
: ওহ চুপ করো তো।
এইসব শুনতে আর আমার ভাল লাগছে না।
: প্লিজ, তুমি এমন করো না
আমার সাথে। ( হাত ধরে)
: হাত ছাড়ো
: না, আমি ছাড়বো না।
: হাত ছাড়ো বলছি
: আমি ছাড়বো না, তাহলে তুমি চলে যাবে।
: ঠাসসসসসসসস। তোর সাহস হলো কী করে আমার হাত ধরার।
:.............. ( নিশাতের কথা শুনে থ মেরে গেলাম আমি। চড় মারলো সেটায় ব্যাথ্যা লাগে নি কিন্তু যেটা বললো সেটাই লাগলো।)
: তোর সাথে রিলেশনে জড়ানো
আমার একটা
বড় ভুল ছিল। তোর মতো
একটা ক্ষ্যাতের সাথে
এতদিন ছিলাম এটাই তোর ভাগ্য।
আমাকে আর ফোন দিবি না
আর আমার সাথে কথা বলার
চেষ্টা করবি না। কথাগুলো
মাথায় থাকে যেন।
: আমার কথা শোনো।
তোমাকে ছাড়া আমি
থাকতে পারবো না। আমার সাথে
এমন করো না প্লিজ।
: বলছি না আমার সাথে
কথা বলার চেষ্টা করবি না।
: ঠিক আছে।
আমায় সারা যদি তুমি
ভালো থাকো তাহলে তুমি
ভালো থেকো।
একটা কথা তোমায়
আমি চিরদিন ভালবেসে যাবো।
( অনেক কষ্টে বললাম)
ওখান থেকে চলে আসলাম।
আর কথা বলতে পারলাম না।
ওখানে থাকলে আমি কেঁদে দিতাম।
কিন্তু পুরুষ মানুষের কান্না মানায় না।
ভালো থাকুক নিশাত।
ফ্লাসবাক ( ফিরে দেখা) আসার সময় যদি
সোহেল পিছন ফিরে একবার
তাকাতো তাহলে সে যেটা দেখতো হয়তো সেটার জন্য সে প্রস্তুত থাকতো না।
কারণ সেই সময় নিশাত সেই রাস্তায়
বসে কাদতেছিলো। নিশাতের
এত কান্না পাচ্ছিল যে সে
কাঁদতে পারছিলো না শুধু
বসে ফোঁপাচ্ছিলো। ডান হাত সে
রাস্তায় আঘাত করছিলো
বারবার কারণ সে এই ডান
হাত দিয়েই সোহেলের মুখে চড়
মেরেছে। নিশাত নিজেকে খুব
বড় অপরাধী ভাবছে কারণ সে
সোহেলকে ধোকা দিয়েছে কিন্তু
এইছাড়া তার কাছে আর কোনো
রাস্তা ছিল না। নিশাতের এমন অনুশোচনার
কারণ কী জানেন। তাহলে নিশাতের
মুখেই শুনেন।...
নিশাতের অনুশোচনার কারণ
জানতে আমার
সাথেই থাকুন এবং আগামী
পর্বের জন্য অপেক্ষা করুণ।
।
।
চলবে......
