লিখেছেনঃ Md Asif
তাসমীমও চলে গেলো তবে যাওয়ার আগে
আমার দিকে এমন ভাবে
তাকালো যেন আমার
কপালে দুঃখ আছে এটাই
সে বোঝাতে চাচ্ছে ।
আমি ওইসব পাত্তা দিলাম না।
আমি ক্লাসে যাওয়ার জন্য
পা বাড়াবো দেখি এমন সময়
আব্বু আবার ফিরে আসলো।
আব্বু এসে বললোঃ---
: বাবু, একটা কথা বলতে
ভুলে গেছি, তোর পাশে
এই মিষ্টি মেয়েটা কে রে? (আব্বু)
: এই সেই মেয়ে। (আমি)
: ওহ, এই সেই আখি।
কী সুন্দর দেখতে। তোর পাশে ভালোই মানিয়েছে (আব্বু)
( এই কথা শুনে মোহনা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো)
ইস, এই মুহূর্ত যদি আমি ক্যামেরাবন্দি করে
রাখতে পারতাম তাহলে সারাজীবন দেখতে পারতাম মনে মনে ভাবছি আমি)
: তাই বুঝি আব্বু? ( আমি)
:হ্যা, দুজনকে খুব মানিয়েছে।
একেবারে রাজযোটক (আব্বু)
: আচ্ছা আব্বু, মানলাম। (আমি)
: মামনি, আমার ছেলেটাকে দেখে রেখো? (আব্বু)
: আচ্ছা, আঙ্কেল। (আখি)
: তাহলে আমি এখন যাই। (আব্বু)
: আচ্ছা আব্বু। (আমি)
আব্বু চলে গেলো।
আব্বু যাওয়ার পর
আখি আমাকে জোড়ে
একটু চিমটি দিলো। আমি বললামঃ---
: এটা কী হলো? (আমি)
: কই কী হলো? (আখি)
: আমাকে চিমটি কেন দিলে? (আমি)
: আঙ্কেলকে বলার শাস্তি। তুমি আঙ্কেলকে বলেছো? (আখি)
: হুম, বলেছি তো কী হয়েছে? (আমি)
: তাই বলে নিজের প্রেমের কথা কেউ বলে! (আখি)
: আসলে আব্বু আমার বন্ধুর মতো।
তাই সবকিছু শেয়ার করি । (আমি)
: তাই বলে সব? (আখি)
: আচ্ছা জানু ঠিক আছে। চলো ক্লাসে যাই! (আমি)
: হুম চলো। (আখি)
তারপর আমি আর
আখি ক্লাসে চলে গেলাম ক্লাস করতে।
আব্বু আসার পর
পরিবেশটা কেমন জানি
পরিবর্তিত হয়ে গেছে।
কেউ আর আমাকে অপমান
তো ধুর উচ্চ স্বরে কথা বলে না ।
বলতে গেলে আমিই এখন ক্লাসের মধ্যমনি।
কলেজ শেষ করে
বাড়িতে চলে আসলাম।
বাড়িতে আসার পর
দেখি ভাইয়া বসে নিউজপেপার পড়ছে।
ভাইয়া আমাকে দেখে বললোঃ---
: একটা খবর শুনেছিস সোহেল? (ভাইয়া)
: কী খবর ভাইয়া? (আমি)
: সাইফুল আঙ্কেলকে[নিশির বাবা]
আমাদের এখানে বদলি করা হয়েছে। (ভাইয়া)
: ও, আচ্ছা। (আমি)
মনটা আবার খারাপ হয়ে গেলো।
কারণ নিশির সাথে
হয়তো আবার দেখা হয়ে যাবে।
আমি চাইনা ওর সাথে
আবার দেখা হোক।
কারণ এখনো ওর জন্য
আমার ভালবাসা রয়েছে।
আমি আর ওর মায়ায় জড়াতে চাই না।
আজকে সকালে একটা
স্বপ্ন দেখে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
আমি স্বপ্নে দেখলাম,
আমার আবার নিশির
সাথে দেখা হয়েছে।
নিশি আমাকে
ইশারায় ডাকছে।
আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছে।
এইটা দেখে তো আমার
মাথা খারাপ হয়ে গেলো।
ও আমার কাছে ক্ষমা চাইবে
কেন? এবং আমার স্বপ্নে
আসবে কেন? কিছুই বুঝতে
পারছি না। কিন্তু আমি ওকে
আর দেখতে চাই না।
ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট
করে কলেজে চলে আসলাম।
আখিও এই মাত্র আসলো।
: কেমন আছো বাবু? (আল্হাদী সুরে আখি)
: তুমিও বাবু বলছো! (আমি)
: কেন, আমি বলতে পারি না বুঝি? (আখি)
: আমি কী সেটা বলেছি? (আমি)
: উহু। (আখি)
: আচ্ছা তোমার যেটা ইচ্ছা সেটাই বলো।
এবার খুশি? (আমি)
: হুম খুব খুশি। উম্মাহহহ (আখি আমার গালে চুমু খেলো)
: এইটা কী করলে? (আমি)
: কেন, আমি তোমাকে
আদর করতে পারি না? (একটু রেগে গিয়ে আখি)
: ওলে বাবুলে, আবার রাগ করে।
আচ্ছা তুমি আদর কোরো।
কোনো সমস্যা নাই। উম্মাহহ (আমিও দিলাম)
: এই তুমি কী করলে এইটা? (আখি)
: কেন তুমি আমাকে আদর করবা
আর আমি তোমাকে আদর
করতে পারবো না? (আমি)
: নাহ, তুমি পারবে না!
আমার যখন খুশি তখন
তোমাকে আদর করবো
কিন্তু তুমি পারবে না। (আখি)
: আচ্ছা, সেটা দেখা যাবে। (আমি)
: হুম। দেখা যাবে। (আখি)
: আচ্ছা,চলো কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসি। (আমি)
: হুম, চলো। (আখি)
তারপর আমি আর আখি
কলেজের কৃষ্ণচূড়া গাছের শিকড়ে
যেয়ে বসলাম। আমরা আমাদের নিয়ে
কথা বলছি। কিছুক্ষণ কথা বলার পর
কিছু একটা দেখে আমার
দৃষ্টি স্থির হয়ে গেলো। আমি কী ভুল
দেখছি নাকি স্বপ্ন দেখছি।
নিজের শরীরে নিজেই একটা
চিমটি দিলাম। আউচচচ, চিমটি
মনে হয় খুব জোড়ে লেগেছিলো।
কিন্তু এটা তো দেখার কথা না।
আমি কেন দেখছি।
আমি কী দেখছি জানেন?
আমি নিশিকে দেখছি।
এতটুকুই আমার চিনতে সময় লাগেনি
যে ওটা নিশি। ও মনে হয় কাউকে
খুজছে। এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।
আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে।
কিন্তু আমি এগুলো ভাবছি কেন?
সে তো আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
আমি ওর কথা ভাববো না।
নিশি যাকে ইচ্ছে খুজছে খুজুক।
হয়তো ওর বয়ফ্রেন্ড হবে।
কিন্তু ওর তো এখানে আসার কথা না।
তাহলে কী আমাকে
খুজতে আসছে?
দুর, আমাকে খুজবে কেন? (মনে মনে কথাগুলো ভাবছি আমি)
আমি আখির সাথে আবার মনোযোগ দিলাম।
কারণ নিশি আমার পুরো
মস্তিষ্ক সহ সবজায়গায়
বিচরণ করছে। আমি
ওকে ভুলতে চাই। ওকে ভুলতে চাই।
কিছু সময় পর কে যেন
আমার সামনে এসে দাড়ালো।
আমি তাকিয়ে যেন আকাশ
থেকে পড়লাম।
তাকিয়ে দেখি***********
।
।
চলবে.........