Type Here to Get Search Results !

Ex যখন বউ part-8

লিখেছেনঃ Writer Srabon Ahamed Sayed


দুই ভাই থুক্কু দুই জামাই শশুর মিইল্লা বিড়ি টানতাছি,, এমন সময় হঠাৎ করেই দেখি আমার শাশুড়ী আম্মা, রিয়ার নানু, রিয়ার মামী আর রিয়া আমাদের সামনে আইসা হাজির😖
রিয়ার আম্মুঃ এসব কি!( উরিমারে বেশি বাল পাকনামি করতে গিয়া ধরা খাইয়া গেলাম,, এখন কি করমু 😭,, শশুর মশাইয়ের দিকে তাকাতেই দেখি উনি এক্কেবারে অবুজ পোলাপাইনের মতো চুপচাপ বইসা আছে,, আর হাতের সিগারেট টাও উধাও,,, তারপর শশুর মশাই আমার কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলল,, জামাই উনারা এই ভাবেই হুট করে চলে আসে,,, আমার পূর্বের অভিজ্ঞতা আছে বলে আমি সিগারেটটাও উধাও করে দিয়েছি,,, এখন তুমি একটা কিছু বলে উনাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে দেও)
রিয়ার আম্মুঃ ( আমার মহামান্য শ্বশুরমশাই কে উদ্দেশ্য করে) এই তোমার কি কোনদিনও বুদ্ধি শুদ্ধি হবে না,,, লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেট খাও ভালো কথা,,, এখন আবার জামাইকে নিয়ে খাচ্ছ। লজ্জা শরম কি আকাশে উঠাইছ!
আমিঃ (এইরে এখন কি কমু,আমার শশুর মশায়ের সাথে সাথে আমার মান-সম্মান ও তো মঙ্গল গ্রহে পাড়ি জমায়তেছে 😣,,,এইরে বুদ্ধি পাইয়া গেছি 😁) আম্মা আপনি আসলে বেপার যেমন ভাবছেন,, ব্যাপারটা কিন্তু তেমন না,, আপনার বুঝতে একটু ভুল হচ্ছে। আসলে আমার বাসায় বসে বোরিং লাগছিল তাই একটু ছাদে আসছিলাম ( অক্করে কাইন্দা কুইট্টা) আইসা দেখি আব্বা মনের সুখে স্মোক করতেছে,,, এখন আপনিই বলেন উনিতো আমার আব্বা,, আমি কেমনে জাইনা শুইনা উনারে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেই,,,আর আপনিও তো এখনও যথেষ্ট যুবতি ( একটু পাম মারলাম) উনার কিছু হয়ে গেলে আপনার কি হইবো? তাই উনার হাত থেকে বিড়ি টা নিয়ে,,, আমি উনাকে বুঝাইতেছি যে,,, এটা আমাদের কোনো উপকার করে না শুধু মাত্র অপকার ছাড়া। আর এইটা খাইলে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।( মুহূর্তের মধ্যে খেয়াল করলাম,, আমার শাশুড়ী আম্মা আমার কাছে এসে আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে)
রিয়ার আম্মুঃ ওওওওওয়া,, ওওওয়া,, ( চোখে এক বালতী পানি লইয়া) বাবা,, তুমি তোমার আব্বারে একটু ভালো করে বুঝাও,, উনিতো আমার কথা শুনতেই চায় না।
আমিঃ আব্বা, আব্বা গো,,, আপনার যদি কিছু হইয়া যায়,, তাইলে আমি আব্বা কারে কমু😣। আপনি আমারে কথা দেন,, আপনি আর বিড়ি খাইবেন না।
রিয়ার আব্বুঃ ( ওরে বাটপার 😶) আচ্ছা বাজান,, আমি আর বিড়ি খামু না,,, তুমি আমার চোখ খুইলা দিছ,, তুমি আমার মাইয়ার জামাই না,, তুমি আমার আব্বা( কথাডা কইয়াই আমারে জরায়া ধইরা,,) ওওওওয়া,, ওওওয়া 😭
তারপর কান্দাকোটি শেষ কইরা,, সবাইরে নিয়া ছাদ থেকে নামতে যাবো,, ঠিক তখনই আমার মহামান্য শ্বশুরমশাই আমার কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলল,, জাআমাইই তুমি কিন্তু হেব্বি টাউটা আছো 🥴 তারপর আমি ও শশুর আব্বা কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম,,, আব্বা মেয়ে মানুষ আপুষে না মানতে চাইলে,,, পাম মাইরা বশে আনতে হয় আর কিছু টুকটাক মিছা কথা কওন লাগে আরকি 😇। তারপর জামাই শশুর হাত মিলাইয়া,, দুইজন দুইজনের জানুমানু লইয়া দুই রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরের দিন সকালে নাস্তা করেই দুই জামাই-শ্বশুর বেরিয়ে পড়লাম,,,,
রিয়ার আব্বুঃ জামাইই তোমার শাশুড়ি কালকে সারারাত তোমার প্রশংসাই শুধু কইরা গেছে।
আমিঃ আব্বাআ,, আমি কার মেয়ের জামাই সেটা দেখতে হইবোনা 😇,, আমি আপনার ধারাটা বজায় রাখমুনা 😎
রিয়ার আব্বুঃ জামাই,, তোমার সাথে আমার এমন মিল হইবো জানলে,, কবেই তোমারে খুইজা বাইর কইরা আমার মাইয়ারে তোমার হাতে তুইলা দিতাম।
আমিঃ আব্বা আপনার মত এমন একটা শশুর,,আমার মতো প্রত্যেকটা আপডেট পুলাপাইন আশা করে।
রিয়ার আব্বুঃ থ্যাংক ইউ জামাই।
আমিঃ ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম আমার কলিজার শ্বশুরমশাই।
তারপর জামাই শশুর কথা বলতে বলতে বাজারে পৌছাইলাম,,,
রিয়ার আব্বুঃ বাজান,, আসো আগবইজ্জার দোকানের পিছনে গিয়া দুইটা বিড়ি খাইয়া আসি।
আমিঃ আরেএ আব্বা 😚 আপনি বিড়ি খাওয়ার জায়গাও রেডি কইরা রাখছেন,,, ( মনে মনে কয়েকবার চিল্লায়া কইলাম,, শশুর মশায় জিন্দাবাদ)।
রিয়ার আব্বুঃ আরে বাবা একটা সেফটির বিষয় আছেনা। আমিও তো লুকায়াই খাই,, নয়তো তোমার শাশুড়ী জানতে পাড়লে কেয়ামতের আলামত দেখাইবো।
আমিঃ হুম আব্বা বুঝতে পারছি,,,
তারপর বিড়ি খাওয়া শেষ কইরা দুইজন মিলে আবারও বাড়িতে চলে আসলাম।
রাতে বিছানায় শুয়ে ফেসবুকিং করছিলাম,, এমন সময় রিয়া এসে বললোঃ এইই তুমি আম্মাকে কি উল্টা পাল্টা বলছ,, আম্মু আমাকে বকা দিচ্ছে কেনো।
আমিঃ লে খুকা,,, আমি কখন আম্মারে কি কইলাম।
রিয়াঃ তুমি আম্মুকে কেন বলছো আমি তোমার জত্ন করিনা।
আমিঃ ওমা,, তা আমিকি মিথ্যা বলছি নাকি।
রিয়াঃ দেখ আমি কোনো ঝামেলা করতে চায় না। তুমি আর এসব আম্মুকে বলবা না।
আমিঃ এএএএহহ মামা বাড়ির আবদার,, সত্যি কথা বললেই দুষ। তা আমারে মেনে নিলেই তো পারো।
রিয়াঃ আমিনা তোমার মত ছেলেকে কখনই মেনে নেবো না।
আমিঃ এএএ ভাই শোন,,, তোমার মত পেতনি যে আমার মত এমন কিউট একটা পোলা পাইছস,, ওইটাই তোর ৭ জনমের ভাগ্য। আবার মুখে মুখে তর্ক করে।
রিয়াঃ উউফফফ আমিনা তোমার সাথে আর কথা বলতে চাচ্ছি না,,,
আমিঃ তো আমিকি,, কথা কইবার চাইতাছি নাকি!
রিয়াঃ (একটু রোমান্টিক কন্ঠে) এইই লক্ষি শোননা,, দেখ তুমি এসব আম্মুর কাছে বললে,, আম্মু কি ভাববে! আমার অসম্মান হয়না বলো।
আমিঃ এএএই তো৷ এখন ঠিক আছে,, এমন মিষ্টি করে বল্লেই তো পারো। এমন চিল্লিয়া কইলে তোমার কথা শুনতে মন চায়? আচ্ছা ঘোমাও। ( মনে মনে,,, এএএএহহ কমুনা কি! আরও বেশি কইরা কমু। আমার বাসায় আম্মুর কাছে আমার প্রেস্টিজ লিক করছিলানা,, এখন ঠেলা বুঝামু)
তারপর দেখতে দেখতে বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলো,,আজকে একটু পরেই আমি আমার পরানের শশুর মশায় কে ছেড়ে,, আমার বাড়িতে তাহার মাইয়াডারে লইয়া পাড়ি জমামু 😣
রিয়ার আব্বুঃ বাজান,, তুমারে খুব মিস করবো,,, 😣 সময় পেলেই তোমার আব্বার কাছে চলে আসবা।
আমিঃ আব্বাগো আমিও আপনাকে খুব মিস করবো,, ভালো থাকবেন,, আর নিজের শরীরের যত্ন নিবেন।
তারপর সবাইকে বিদায় জানিতে শশুর বাড়ি থেকে আমার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।
বাড়িতে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার আড্ডাখানায় গিয়ে যোগ দিলাম,,, আড্ডাখানায় যেতেই,,
রুবেলঃ কিরে মাম্মা,,, শশুর বাড়ির খাবার খেয়ে তো মোটা হয়ে গেছিস🤪
আমিঃ আরে বেটা,, শশুর বাড়িতে যেইই যত্ন টা করছে,, আগে জানলে লেংটা কালেই বিয়ে করে নিতাম।
হাবিবঃ বলিস কি! মামা বলনা কেমন যত্ন করে?
আমিঃ এএএএহহহ কমু না।
রুবেলঃ বুঝতে পারছি,,,বউয়ের ঝাড়া খাইয়া ফিট হয়ে গেছস।
আমিঃ এএএএএ ব্যাটা এএ। আমারে কি তোর বেক্কেল মনে হয় নাকি! বউকে আরও উল্টো বাশ দিয়ে আনছি 😂,,এখন আমার বাসায় গিয়ে দেখবি,, বউ আমার এক্কেবারে তারের লাহান সোজা হইয়া গেছে।
হাবিবঃ হয়ছে,,, তোর চাপা রাখ। দেখমুনে গিয়ে কেমন সোজা করছস।
তারপর হারামিগুলার সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে রাতে বাসায় ফিরলাম।
তারপর রাতের খাবার শেষ করে,, রুমে আসতেই,,
রিয়াঃ সাদ,, তোমাকে আমার কিছু বলার ছিলো।
আমিঃ হুম বলো।
রিয়াঃ দেখ,, আমরা দুজন দুজনকে সহ্য করতে পারি না। সবসময় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে,, যেখানে স্বামী স্ত্রী এক আরেকজনের বিপদে আপদে পাশে দাড়ায়,, সেখানে আমরা ব্যাস্ত থাকি এক আরেকজনের বিপদের কারণ হওয়ার জন্য।
আমিঃ হুম সেটা ঠিকি বলছো।
রিয়াঃ সাদ,, আমরা হয়তো কখনই এক সাথে হ্যাপি থাকতে পারবো না।
আমিঃ আচ্ছা,, আমরা চাইলেই তো সব কিছু ভুলে গিয়ে আবারও নতুন করে শুরু করতে পাড়ি।
রিয়াঃ না সেটা সম্ভব না,,, কারণ, আমরা দুজনেই একি ক্যাটাগরির।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,, আমি আর কখনও তোমার সাথে অকারণে ঝগড়া করবো না,, কখনো তোমার কষ্টের কারণ হবো না।
রিয়াঃ না সাদ,,, এটা বলা যতটা সহজ ,, করা ততটাই কঠিন।
আমিঃ তাহলে তুমি কি বলতে চাচ্ছো।
রিয়াঃ সাদ,, আমাকে ভুল বুঝ না,,, আমি তোমার সাথে থাকতে পারবো না।
আমিঃ মানে!
রিয়াঃ মানে আমি ডিভোর্স চাই।
*পরবর্তী পর্ব আগামীকাল দুপুর ২ টায় প্রকাশ করা হবে। by the grace of Allah 😍
Waiting for next part....
পূর্ববর্তী পর্ব                                                                                                                   পরবর্তী পর্ব

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.